মুড সুইং কি? কেন হয়? আমাদের বিভিন্ন কারনে মন খারাপ থাকে। কিন্তু এটা যদি বার বার হয় এবং এটা খুবই মাত্রাতিরিক্ত হয় তখন চিন্তার বিষয়। কোন কারন ছাড়াই বার বার মন খারাপ থাকে, শুধু শুধু বিষন্বতা অনুভব হয়। এধরনের সমস্যকে বলে মুড সুইং
, স্বাভাবিক আমাদের যে মন খারাপ থাকে তা আসলে মুড সুইং না। সেটি হলো আমাদের একান্ত ভালো খারাপের অনুভুতি। মুড সুইং সাধারনত ১৫ থেকে ২৯ বছর নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই হতে পারে। তবে সব বয়সের মানুষের এ ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মুড সুইং কেন হয় ?
মুড সুইংয়ের লক্ষণ
কারন ছাড়াই মন মেজাজ খারাপ, অকারনে মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করা, পরিবারে আদেশ না মানা,মানসিক সমস্যা,শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা, সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব ঝিমানো এছাড়াও আর অনেক ধরনের লক্ষণ থাকতে পারে।
মুড সুইং নারী না পুরুষের বেশি হয় ?
অনেকের অভিমত , মুড সুইং শুধু মেয়েদের বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু নারী-পুরুষ সবারই এটি হতে পারে। কিন্তু আমাদের ভারত মহাদেশ এ ধরনের মুড সুইংদেখা যায় মূলত ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এই লক্ষণ বেশি দেখা যায়।
মুড সুইং নিয়ন্ত্রণ করবো কিভাবে
মুড সুইং লক্ষণ প্রকাশ পেলে অবশ্যই একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে, যিনি তাকে সঠিক রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে তিনি তাকে সঠিক নিরাময়ের একটি রোডম্যাপ প্রদান করবেন।
তাছাড়া এধরনের রোগীকে মানতে হবে কিছু বিষয়। তাকে কিছু সৃজনশীল কাজের সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে যেমন, তাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে, নিয়ম মেনে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে তাকে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করতে হবে
নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমাতে হবে , তার ধর্ম অনুযায়ী ইবাদত করতে হবে এভাবে সে ধীরে ধীরে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে এভাবেই সে পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠবে।
ডার্ক চকলেট কি মুড সুইং কমায় ?
মন খারাপের অজুহাত দিয়ে অনেক সময় আমরা নিজেকে ডার্ক চকলেট উপহার দিই। তবে, মুড সুইং কমানোর ক্ষেত্রে ডার্ক চকলেটের কোনো ভূমিকা নেই। হয়তো ডার্ক চকলেট খাওয়ার পর নিজের মধ্যে আত্মতৃপ্তি কাজ করে, সাময়িক ভালোলাগা কাজ করে। কিন্তু ডার্ক চকলেট মুড সুইং কমায় ধার